বালাইনাশক উৎপাদনে ৩০ বছর ধরে পথ দেখাচ্ছে এস এ এম এগ্রো কেমিক্যাল
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। কৃষকের শ্রম ঘামে ফলানো ফসলই বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দেয়।
জমি যার ফসল তার তার এটা ছিলো এ অঞ্চলের কৃষক পরিবারের ঐতিহ্য। হাজার বছরের ধারাবহিকতায় জমি দখলে রাখার শর্তে আর পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে ফসল উৎপাদন করতেন কৃষক। কিন্তু সনাতনী পদ্ধতির কৃষি উৎপাদন লাভজনক ছিল না । নানা রকম রোগ-বালাই ও পোকার আক্রমনে ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় কৃষক ছিলেন দিশেহারা।
অলাভজনক কৃষিকে লাভজনক করে তোলাও কৃষকের জীবন-মান উন্নয়নের লক্ষ্যে দীর্ঘ গবেষণার ফলে কৃষি পণ্য উৎপাদনে আবিষ্কার হয় বালাইনাশক। এর ফলে আধুনিক কৃষিপণ্য উৎপাদনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে। বালাইনাশকের সঠিক ব্যাবহারের ফলে কৃষি হয়ে ওঠে লাভজনক। সোনালী ফসল উৎপাদনে দেশ হয়ে ওঠে কৃষিতে স্বনির্ভর। খাদ্য-দ্রব্য আমদানি নির্ভরতা কমে আসে বাংলাদেশে। আধুনিক কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির অংশিজন হিসেবে এসএ এম এগ্রো কেমিক্যাল ১৯৯৫ সনে বালাইনাশক ব্যাবসা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সৈয়দ আবুল মনসুর মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন শুধু মুনাফা অর্জন নয়, কৃষকের স্বার্থ আগে। এই লক্ষ্যে বালাইনাশকের গুনগত মান সঠিক রেখে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চায়না ও ভারতের খ্যাতনামা বালাইনাশক উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো থেকে আমদানী করে ফেনীর বিসিক শিল্প নগরীতে গড়ে তুলেছেন রিপ্যাকিং কারখানা। এই কারখানায় বর্তমানে শতাধিক শ্রমিক কর্মরত আছেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে এস এ এম এগ্রো কেমিক্যালের রয়েছে ১২টি ডিপো। এ সকল ডিপো থেকে সারাদেশে ৫ হাজার ডিলার এর মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় প্রতিষ্ঠানের ৮০ টি বালাইনাশক ও ১৫ ধরনের সার ও পি জি আর। মানসম্পন্ন এই সকল বালাইনাশকের মধ্যে রয়েছে কিটনাশক, আগাছানাশক ও ছত্রাকনাশক। এ এম এগ্রো কেমিক্যাল এব বিক্রয় বিভাগে নিয়োজিত রয়েছেন একশোর বেশি দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা। ত্রিশ বছরের পথ চলায় ব্যাপক সুনাম ও আস্থার প্রতীক হয়ে হয়ে উঠেছে কোম্পানিটি।
