বিদেশ থেকে গরুর মাংস আমদানির খবর মিথ্যা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
বিদেশ থেকে গরুর মাংস আমদানির বিষয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকার ব্রাজিলসহ কোনো দেশ থেকে গরুর মাংস আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ‘ব্রাজিল বাংলাদেশকে কেজি প্রতি ১২০ টাকায় গরুর মাংস সরবরাহ করবে’—এ ধরনের খবর মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বর্তমানে মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের প্রায় ১৫ লাখ প্রান্তিক খামারি এবং ৬ লাখ মৌসুমী খামারি কোরবানির ঈদের মতো মৌসুমে স্থানীয়ভাবে গবাদিপশুর চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। প্রাণিসম্পদ খাত শুধু মাংস উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি নারীর ক্ষমতায়ন, আত্মকর্মসংস্থান, দারিদ্র্য নিরসন এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশে এখনো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হিমায়িত মাংস সংরক্ষণ ও পরিবহন অবকাঠামো পুরোপুরি গড়ে ওঠেনি। ফলে বিদেশ থেকে মাংস আমদানির ক্ষেত্রে কোল্ড চেইনের দুর্বলতার কারণে মান নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে। একই সঙ্গে বিদেশি মাংসের মাধ্যমে ক্ষুরারোগ, ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগজীবাণুর অনুপ্রবেশের আশঙ্কাও রয়েছে। স্থানীয় খামারিদের প্রশিক্ষণ, উৎপাদন উপকরণ বিতরণ, বাজার সংযোগ এবং জাত উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। রোগমুক্ত অঞ্চল তৈরির মাধ্যমে ভবিষ্যতে মাংস রপ্তানির লক্ষ্যও নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলছে, সরকার দেশীয় খামারিদের স্বার্থরক্ষা এবং জনগণকে নিরাপদ ও মানসম্মত মাংস সরবরাহে অঙ্গীকারবদ্ধ। বিদেশ থেকে মাংস আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত বর্তমানে নেই এবং এ বিষয়ে প্রচারিত বিভ্রান্তিকর সংবাদে প্রভাবিত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
