বন্দর নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন আশিক চৌধুরী
ঢাকা মর্নিং ডেস্ক: চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'গতকাল চট্টগ্রাম বন্দর ভিজিট করলাম তিন মাস পর। চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে আমার আগ্রহের মূল কারণ হচ্ছে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বন্দর সক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। প্রত্যেকটি ইনভেস্টর এর প্রথম পাঁচটা প্রশ্নের মধ্যে একটা হয় আমাদের পোর্টগুলোকে নিয়ে। যেহেতু দেশের ট্রেড এর শতকরা ৯০ ভাগ হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে, সেহেতু আমাদের দেশে বিনিয়োগ আকর্ষণীয় করে তুলতে হলে এই বন্দরকে হতে হবে বেস্ট ইন ক্লাস। তাছাড়া বন্দরগুলো নিজেরাই বিনিয়োগের একেকটা হটস্পট। যেমন,
আমাদের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এককালীন এফডিআই এর মধ্যে একটি।
দারুন লাগলো দেখে যে আমাদের আগের সব রেকর্ড ব্রেক করে আমরা গত এক মাসে আগের মাসের তুলনায় প্রায় ৩০% বেশি কনটেইনার হ্যান্ডেল করছি। আর জাহাজ ক্লিয়ার করছি প্রায় ৮ ঘন্টা কম সময়ের মধ্যে। চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড দায়িত্ব নেবার পর থেকেই এই পারফরমেন্স। তাদেরকে অভিনন্দন। তার পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষ আরটিজিএস, অটোমেটেড টিকেটিং ও গেট, অনলাইন এজেন্ট ডেস্ক, ইত্যাদি চালু করেছে। এতে একই সাথে কাজের গতি বাড়ছে আর কমছে দুর্নীতির সম্ভাবনা।
গতবার আমাকে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল বন্দর তো ভালই চলছে। আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশি কনটেইনার হ্যান্ডেল করছে। তাহলে কেনো আমরা শুধু শুধু নতুন অপারেটর খুজছি। এই প্রশ্নের উত্তর গত এক মাসের ডাটাই দিচ্ছে। আমরা আসলে এই বন্দরের সর্বোচ্চ পোটেনশিয়ালটাই জানি না। সেটা জানতে হলে বন্দরকে টেকনোলজি, ইনভেস্টমেন্ট এবং ম্যানেজমেন্ট এই সব দিক থেকে সেরাটা বেছে দিতে হবে। বিডা থেকে আমরা এই প্রসেস এর জটগুলো খুলে দেবার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। প্রতি সপ্তাহে আন্ত মন্ত্রণালয় মিটিং হচ্ছে। আশা করছি এই বছর শেষ হবার আগেই আমরা সবগুলো বন্দরের অপারেটর সিলেকশন যথাযথ পদ্ধতি মেনে সম্পন্ন করতে পারব।'
