রাজনৈতিক বিভেদ গণঅভ্যুত্থানের চেতনা  বাস্তবায়নে বড় বাধা'

রাজনৈতিক বিভেদ গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়নে বড় বাধা'


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ২৮ জুলাই সোমবার, 

আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)'র উদ্যোগে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বিকাল ৬.৩০টায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিবেদিত শিল্পী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম কর্মীদের সম্মানে চা-চক্রের আয়োজন করা হয়। এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অবঃ) দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চা-চক্রে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাসস এর প্রধান সম্পাদক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, দৈনিক ডেসটিনির সম্পাদক, বিশিষ্ট কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, এবি পার্টির সাংস্কৃতিক সম্পাদক এনামুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান, বিশিষ্ট গণমাধ্যম কর্মী আব্দুর রহমান মল্লিক, মোহাম্মদ ইউনুস আলী। 

এসময় মাহবুব মোর্শেদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে দলমত নির্বিশেষে সারাদেশের মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলো ফ্যাসীবাদি হাসিনার হাত থেকে মুক্তির জন্য। এক ভয়ংকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভূমিকা রাখতে হয়েছে শিল্পী, সাহিত্যিক বা গণমাধ্যম কর্মীদের। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে যখন নারীরা লাঞ্ছিত হচ্ছিল, শিশুদের হত্যা করা হচ্ছিল তখন মানবিক কোন শিল্পী, সাহিত্যিকের বসে থাকার উপায় ছিলোনা। তারা রাজপথে নেমে এসেছিলো, শ্লোগান দিয়েছিলো। গণমাধ্যম কর্মীরা জীবন দিয়েছিলো। 

তিনি বলেন, আজ গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পর বিভিন্ন কারণে আমাদের মাঝে কিছু রাজনৈতিক বিভেদ দৃশ্যমান। এই রাজনৈতিক বিভেদ ও বিভাজন গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট বাস্তবায়নে অন্যতম বাধা। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট বাস্তবায়নে আন্তরিক ভূমিকা রাখার আহবান জানান। 


এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, যেদিন কারফিউ দেয়া হয়েছিলো সেইদিন আমরা কারফিউ ভেঙ্গে এই রাজপথে মিছিল করেছিলাম। সেদিন মিছিল শেষে সারাদেশের কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, আলেম ওলামা, খেলোয়াড় সবাইকে আহবান জানিয়েছিলাম ফ্যাসীবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার জন্য। সেদিন আমরা অধ্যাপক ইউনুস এবং আব্দুল্লাহ আবু সাঈদকে আহবান করেছিলাম সরকারের বিরুদ্ধে ভুমিকা রাখার জন্য। এক সময় আমরা দেখলাম সবাই স্বৈরাচারী হাসিনার বিরুদ্ধে এক পর্যায়ে মাঠে নেমেছিলেন এবং স্বৈরাচারের পতন হয়েছিলো। এখন আবার আমাদের নতুন বাংলাদেশ গঠনে আশার বানী শোনাতে হবে, কাজ করতে হবে ঐক্যবদ্ধ ভাবে। এতো ত্যাগ ও জীবনের বিনিময়ে দেশের মানুষকে হতাশ করার কোন সুযোগ নাই। 

কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী বলেন, একটি বিপ্লবের পর কোন দেশেই তার আগের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা বহাল থাকেনি। আমাদের দূর্ভাগ্য এখানে ফ্যাসীবাদের সকল কিছু এখনো বিদ্যমান রয়েছে। তিনি এখনো ফরাসী বিপ্লব, রুশ বিপ্লব ও ইরানী বিপ্লবের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে সবকিছুর আমুল পরিবর্তন হয়েছিলো বিপ্লবীদের আকাঙ্ক্ষাকে ভিত্তি করে। বাংলাদেশের মানুষ এতো ত্যাগের পরও তার আকাঙ্ক্ষা এখনো ঝুলে আছে শেখ হাসিনার আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। তিনি সবাইকে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতি দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানিয়ে এক সাথে কাজ করার অনুরোধ জানান। 

চা-চক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাসির, পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক ড. ওমর ফারুক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান ব্যাপারী, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রব জামিল, নারী নেত্রী ইভানা শাহিন, চিত্র শিল্পী মহিউদ্দিন আহমেদ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিল্পী, সাহিত্যিক ও গণমাধ্যম কর্মী এবং এবি পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।